Practical English Usage

ইংরেজি শিখছে এমন বিদেশি শিক্ষার্থী এবং দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখান এমন শিক্ষকদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় রেফারেন্স বই হল মাইকেল সোয়ানের Practical English Usage

১৯৮০ সালে প্রকাশের পর থেকে এ পর্যন্ত বইটির ২০ লাখেরও বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। যা নিঃসন্দেহে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ।

১৯৯৫ সালে পরিবর্ধিত আকারে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ২০০৫ সালে এর তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। বর্তমান চতুর্থ সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে। বইটির প্রকাশক অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস।

যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাদের জন্য ভাষা শেখার পথে ছোট থেকে বড় অসংখ্য সমস্যা থাকে। যেমন, 3 × 4 = 12 এত সহজ একটি বাক্য ইংরেজিতে কিভাবে বলব, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। EachEvery-এর পার্থক্য কী এমন “সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ” প্রশ্নেও আমরা আটকে যাই।

এই ধরনের বাস্তব সমস্যার সমাধানকে লক্ষ্য করেই বইটি রচিত। Practical English Usage-এ আলোচিত হয়েছে ৬০০-রও বেশি পয়েন্ট। যার ব্যাখ্যা এতটাই ব্যবহারযোগ্য যে যেকোনো একটি পয়েন্ট পড়েই তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব। তাই এটি প্রথাগত ব্যাকরণ বইয়ের চেয়ে অনেক বেশি “হাতেকলমে” শেখার উপযোগী।

তবে বইটি একেবারে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নয়। যাদের ইংরেজিতে কিছুটা ভিত্তি এবং আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠেছে বইটি তাদের বেশি কাজে আসবে। এছাড়া ইংরেজির শিক্ষকদের জন্য বইটি অনেক কাজে আসে। বইটিকে অনেকটা ইংরেজি ব্যাকরণের অভিধান হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব।

বইটির উদাহরণসমূহ মূলত আধুনিক ব্রিটিশ ইংরেজি ভিত্তিক।

সবশেষে ভাষা ব্যবহারে ভুলের প্রসঙ্গে লেখকের চিন্তাটি তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ:

“সঠিকভাবে ও সম্পূর্ণভাবে মনের ভাব প্রকাশের জন্য ব্যাকরণের শুদ্ধতা জরুরি। অতিরিক্ত ভুল অর্থ বিকৃত করে দেয়। তবে এও মনে রাখা দরকার যে সঠিকভাবে মনের ভাব প্রকাশের জন্য একেবারে নির্ভুল হওয়া জরুরি নয়। তাই দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজী শিক্ষার্থীর উচিত গুরুতর ভুলগুলো থেকে বেঁচে থাকা। শুদ্ধ-অশুদ্ধ বিষয়ে অতি খুঁতখুঁতে আচরণ অপ্রয়োজনীয়।


বই: Practical English Usage
লেখক: মাইকেল সোয়ান
বইটি সংগ্রহ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *