“দুর্গা হঠাৎ বলিয়া উঠিল– চল্ রে অপু, ঐ কোথায় ডুগডুগি বাজচে, চল্, বাঁদর খেলাতে এসেছে ঠিক, শিগগির আয়–
আগে আগে দুর্গা ও তাহার পিছনে পিছনে অপু ছুটিয়া বাটীর বাহির হইয়া গেল। সম্মুখের পথ বাহিয়া, বাঁদর নয়, ও–পাড়ার চিনিবাস ময়রা মাথায় করিয়া খাবার ফেরি করিতে বাহির হইয়াছে।”
নিশ্চিন্দিপুরের হরিহর রায়ের পুত্র-কন্যা দুর্গা ও অপু বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত ভাই-বোন চরিত্রজোড়।
বইয়ের নাম পথের পাঁচালী। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস। গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৯২৯ সালে।
তবে উপন্যাসের প্রথম খসড়াতে দুর্গা চরিত্রটি ছিল না। হরিহর রায়ের ছিল কেবল একটি পুত্র– অপু।
তারপর দুর্গা চরিত্রটি সংযুক্ত করার জন্য বিভূতিভূষণ কেনো আবার উপন্যাসটি ঢেলে সাজালেন সে খবর লেখক নিজেই জানাচ্ছেন:
“একদিন হঠাৎ ভাগলপুরের রঘুনন্দন হল-এ একটি মেয়েকে দেখি। চুলগুলো তার হাওয়ায় উড়ছে। সে আমার দৃষ্টি এবং মন দুইই আকর্ষণ করল– তার ছাপ মনের মধ্যে আঁকা হয়ে গেল, মনে হল উপন্যাসে এই মেয়েকে না আনলে চলবে না। পথের পাঁচালী আবার নতুন করে লিখতে হল, এবং রিকাস্ট করায় একটি বছর লাগল।”

বই: পথের পাঁচালী
লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বইটি সংগ্রহ করুন