পদ্মার পলিদ্বীপ

ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের শেষ সময়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। জাপানী বাহিনী বার্মা দখল করেছে। ব্রিটিশরা ভারত টিকিয়ে রাখা নিয়ে চিন্তিত।

এদিকে ভারতে চলছে ভারত ছাড় আন্দোলন। অত্যন্ত টালমাটাল সময়। অথচ পদ্মার পলিদ্বীপে সেই আলোড়ন সামান্যই অনূভূত হয়। পদ্মার চরের মানুষের জীবন সংগ্রামের। সেই সংগ্রামের ভেতর রাষ্ট্র পরিবর্তনের প্রভাব সামান্যই পৌঁছায়।

নদীতে চর জাগলে বরং তাদের উচ্ছ্বাস হয়। যেমন উপন্যাসের মূল চরিত্র ফজলের উত্তেজনা টের পাওয়া যায় খুনের চর জেগেছে তা আবিষ্কার করার পর:

“কিছুদূর গেলেই শাদা বস্তুগুলো স্পষ্ট দেখা যায়।
কি আশ্চর্য! নদীর মাঝে হেঁটে বেড়াচ্ছে অনেকগুলো বক।
ফজল বৈঠা হাতে দাঁড়িয়ে যায়। কিছু দেখবার জন্যে সে উত্তর দিকে তাকায়। হ্যাঁ ঐ-তো, ঐ-তো বানরীর জোড়া তালগাছ!
উল্লসিত হয়ে ওঠে ফজল। বলে, ‘চর জাগছে রে নুরু, চর জাগছে!”

পদ্মার পলিদ্বীপ আবু ইসহাকের দ্বিতীয় উপন্যাস। ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৮৫ এই দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে লেখক উপন্যাসটি রচনা সমাপ্ত করেন।


বই: পদ্মার পলিদ্বীপ
লেখক: আবু ইসহাক
বইটি সংগ্রহ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *