“মানুষের বসতির পাশে কোথাও নিবিড় অরণ্য নাই।” আরণ্যক উপন্যাসে আমরা অরণ্যের গল্পই পাই। যে অরণ্যের পাশে মানুষের বসতি নাই।
বিপুল এক অরণ্য অঞ্চলের জমিদারের কর্মচারী হিসেবে প্রজা জোগাড় করে তাদের কাছে জমি বিক্রি ও ইজারা দেয়ার দায়িত্ব নিয়ে আসা এক কলকাতার যুবক সত্যচরণ এ উপন্যাসের মূল চরিত্র।
বহু বছর বাদে যখন সত্যচরণ সেই অরণ্য অঞ্চল ছেড়ে চলে আসছে তখন সে সেই অরণ্যের ভেতর গড়ে ওঠা জনপদের দিকে তাকিয়ে ভাবছে, “ঘন বন কাটিয়া আমিই এই হাস্যদীপ্ত শস্যপূর্ণ জনপদ বসাইয়াছি ছয়-সাত বৎসরের মধ্যে।”
বিদায়ের সময় অনুতপ্ত মনে সত্যচরণ ভাবতে থাকে, “হে অরণ্যানীর আদিম দেবতারা, ক্ষমা করিও আমায়।”
আরণ্যক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চতুর্থ উপন্যাস। প্রকাশিত হয় ১৯৩৯ সালে।
বই: আরণ্যক
লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বইটি সংগ্রহ করুন