রাণাঘাটের রেল-বাজারে বেচু চক্কত্তির হোটেলের সামনে কোনো সাইনবোর্ড ছিল না। তবে অনেকেই জানতো এটিই রাণাঘাটের সেরা হিন্দু হোটেল।
তবে এ গল্প বেচু চক্কত্তির হোটেলের নয়। বরং তার হোটেলের রাঁধুনী বামুন হাজারি ঠাকুরের।
হাজারি ঠাকুরের বয়স পঁয়তাল্লিশ। গায়ের রঙ কালো। নিপাট ভালো মানুষের চেহারা। রান্নার হাত ততোধিক ভালো।
পাঁচ বছরের বেশি হতে চললো হাজারি ঠাকুর বেচু চক্কত্তির হোটেলে রাঁধছে। হোটেলের যত সুনাম হাজারি ঠাকুরের রান্নার সুনাম তার থেকে কম নয়!
তবে তার গুণের কদর বেচু চক্কত্তি করে না। হোটেলের কাজ হাজারি ঠাকুর খুব ভালো শিখেছে। সে নিজে একটা হোটেল খুলবে। এই স্বপ্ন সে দেখে। হোটেলের বাইরে লেখা থাকবে:
হাজারি চক্রবর্তীর হিন্দু-হোটেল
রাণাঘাট
ভদ্রলোকের সস্তায় আহার ও বিশ্রামে স্থান।
আসুন! দেখুন!! পরীক্ষা করুন!!!
তবে হাজারি ঠাকুর বেজায় গরিব। হোটেল খোলার মতো পুঁজি বা সাহস তার নেই। প্রায় বিপন্ন ও নিরাশ অবস্থা থেকে কাজের প্রতি মমতা ও সততার জোরে হাজারি ঠাকুরের আদর্শ হিন্দু হোটেল প্রতিষ্ঠার গল্প এ উপন্যাস।
বই: আদর্শ হিন্দু হোটেল
লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বইটি সংগ্রহ করুন